মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
সরেজমিনে দেখা যায়, পরিবহণ চালক ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে সড়কের পাশে সচেতনতামূলক বার্তা দিয়ে হলুদ রঙয়ের স্থায়ী বিলবোর্ড বসানো হয়েছে। এসব বোর্ডে লেখার আছে, ‘গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন’, ‘ক্লান্ত, অসুস্থ ও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকুন’ প্রভৃতি।
এ ব্যাপারে ট্রাক চালক মোঃ আবুল হোসেন বলেন, চলাচলের পথে এসব বিলবোর্ড চোখে পড়লে আমরাও একটু সাবধান হতে পারি। আসলেই গাড়ি চালানোর সময় সচেতনভাবে চালানো উচিত। দুর্ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই অসাবধানতাবশত হয়ে থাকে।
সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক এর ছাত্রী লিয়া মনি বলেন, আগে আমাদের অর্থাৎ পথচারীদের সচেতন হতে হবে, নিজেদের মধ্যে আগে পরির্বতন আনতে হবে। তাহলে দুর্ঘটনা কমবে। আমার মনে হয় গাড়ি চালকদের নিয়ে আলাদাভাবে সচেতনামূলক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। স্থানীয়ভাবে চালক হেলপার কন্ট্রাকটারদের স্ব স্ব শ্রমিক ইউনিয়ন ও সংশ্লিষ্ট মালিক সমিতি মাসে অন্তত একবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে সচেতনতামূলক ক্যাম্পইন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আরও বেশি কার্যকর হবে। আর নতুন বিলবোর্ডগুলো মানুষ আগ্রহ নিয়ে পড়ছে। এগুলো সামান্য হলেও মানুষের মনে সাড়া দেবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মো. আনিসুর রহিম বলেন, সাধারণ মানুষকে আগে সচেতন হতে হবে। তাহলে চালকরাও সচেতন হবে। আর এসব বিলবোর্ড অবশ্যই মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করবে। এর পাশাপাশি গাড়ির মালিকপক্ষ থেকে যদি চালকদের নিয়োগপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে দুর্ঘটনা অনেক অংশে কমে যাবে।
সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারি পরিচালক প্রকৌশলী তানভির আহমেদ চৌধুরী বলেন, চালক ও পথচারীদের সচেতন করতে জেলা পুলিশ, বিআরটিএ’র উদ্যোগে ও র্যাংগস মটরস লিমিটেডের সহযোগিতায় আমরা এ বিলবোর্ডগুলো বসিয়েছি। এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে কিছুটা হলেও সচেতনতাবোধ তৈরি হবে। চালক ও পথচারীদের সচেতন করতে বড় ধরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী মাস থেকে আমরা নিয়মিত সচেতনতামূলক ক্যাম্পইন করবো। তিনি আরো বলেন আমি সাতক্ষীরাতে যোগদানের পর থেকে গ্রাহকদের সেবার মান উন্নত ও দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আমার এখানে এখন আর কাজ নিয়ে দালাল ধরা লাগে না কোন কাজ নিয়ে ঘুরতে হয় না যে কোন সঠিক কাজ সাথে সাথে গ্রাহক পেয়ে যান। আমাদের নিজস্ব ভবন ও বর্তমানে রুম সংকটের কারণে কাজের অনেকটা বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ভবন ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক রুম পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।