জাহাঙ্গীর রেজা, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সবচাইতে বয়স্ক মানুষ ময়মন বেওয়া মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১২০ বছর। তার জন্ম ১৯০২ সালের ১ জানুয়ারী।
৭ ছেলে ৭ মেয়ের জননী এই বৃদ্ধা কখনও ওষধ বা ইনঞ্জেকশন নেননি। সব সময় মনোবল শক্ত রেখে বেঁচেছিলেন।
সোমবার (২৪ জানুয়ারী) সকালে খগাখরিবাড়ির (সাবেক ছিটমহল) আনন্দ নগর গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি বাধ্যকজনিত রোগে ইন্তেকাল করেন ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া….. রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি ছেলে মেয়ে নাতী নাতনি, পুঁতি ও পুঁতির সন্তান সহ ৮৮ সদস্য রেখে গেছেন।
গতকাল বাদ আছর নামাজে জানাজা শেষে তাকে তার নিজ গ্রামেই দাফন করা হয়। বৃদ্ধার যে জানুয়ারী মাসে জন্ম নিয়েছিলেন সেই মাসেই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলেন।
ময়মন বেওয়া ছিলেন ৬৮ বছরের বন্দি জীবনের ছিটমহলের বাসিন্দা।
২০১৫ সালের ৩০ জুলাই মধ্য রাতে বিলুপ্ত হয় সেই ছিটমহল। তিনি লাভ করেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। ৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বৃদ্ধার এক ছেলে লালমিয়া অংশ নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধার খেতাব পান।
প্রসঙ্গত ২০২০ইং সালের ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নীলফামারী জেলা প্রশাসন শিল্পকলা একাডেমিতে এই বৃদ্ধাকে অপরাজিতার সম্মাননা প্রদান করেছিলেন। সম্মাননার ক্রেস্ট তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন আসাদুজ্জামান নুর এমপি ও সাবেক জেলা প্রশাসক বর্তমানে জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রনালয়ে কর্মরত যুগ্মসচিব হাফিজুর রহমান চৌধুরী।
তাঁর জানাজা নামাজে অংশ গ্রহণ করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, খগাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথনসহ উক্ত ইউনিয়নের শত শত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ৷