খবরের আলো :
লোকসংস্কৃতি আমাদের শেকড় যা সম্প্রীতি আর মানবতা নিয়ে বাঁচতে শেখায়। তাই লোকসংস্কৃতির বিস্তৃতি আরো বেশি করে আধুনিক সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।’ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মালিবাগে কারিতাস মিলনায়তনে ‘মিডিয়া মিউজিয়াম সম্মাননা ২০১৮’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এসব কথা বলেন।
মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট এম এম বাদশাহ সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাত বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সাত ক্যাটাগরিতে ‘মিডিয়া মিউজিয়াম সম্মাননা-২০১৮’ প্রদান করা হয়।
সম্মাননা প্রাপ্ত হলেন, জহির আলীম (সংগীত শিল্পী), সৈয়দ নজরুল হক (লোকসংস্কৃতি সংগঠক, ভারত) থিওফিল নকরেক (লেখক ও কবি), নজরুল ইসলাম ভুঁঞা মাহাবুব (সমাজ সেবা), শেখ গালিব রহমান (তরুণ প্রযুক্তিবিদ, ইউএসএ), হাসান মাহমুদ (অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা), মোহাম্মদ মারুফ ফিরোজ (শিক্ষা উদ্যোক্তা)।
অনুষ্ঠানে লোকসংগীতের পাশাপাশি পুঁথি পাঠের আয়োজন ছিল অনেকটাই উপভোগ্য। ছিল শিশু শিল্পীদের লোকসংগীত ও শিশু শিল্পীর বাশিরের কন্ঠে পাহাড়ি গান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক শিক্ষাবিচিত্রা সম্পাদক আবদার রহমান, আদিবাসী বার্তার সম্পাদক এ এম মিলন, ঢাকা বারের আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, ইআইবিসিএল’র সিও রাকিবুল হাসান, বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী এফ এম আনিস, মিডিয়া মিউজিয়াম ইয়ুথ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোমিন উল্ল্যাহ, রিয়াজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এফ এম বায়জিদ, মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশের পরিচালক সিকদার নজরুল ইসলাম ও রিদওয়ান তুহিন, কার্যনির্বাহী সদস্য মাসুদ রানা প্রমুখ।
কয়েকজন সাংবাদিক ও সংস্কৃতি কর্মীর সমন্বয়ে ২০০৯ সালের অক্টোরব মাসে মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশের পথচলা শুরু। এই সল্প সময়ে পথশিশুদের শিক্ষাপোকরণ প্রদান, ঈদ উৎসবে নতুন জামা প্রদান, তীব্র শীতে শীতবস্ত্র প্রদানের কর্মসূচি পালন করে আসছে সংগঠনটি। তৃনমূল গ্রাম গঞ্জে এমনকি চরাঞ্চলের শীতার্ত হতদরিদ্রদের পাশেও সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা নিয়ে ছুটে যায় মিডিয়া মিউজিয়ামের সদস্যরা।