বৃহস্পতিবার, ০৭ জুলাই ২০২২, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
মিতু আক্তার, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ৩ নং কাজিহাল ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ আটপুকুরহাটের প্রধান চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে বৃষ্টির সময় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলে পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
নিয়মিত এ রাস্তা দিয়ে ইউনিয়নের দাদুল চোকিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, চোকিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পুখুরীহাট, রুদ্রানী, চিন্তামন, ঝাঝিরা, আমড়া গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুণষকে যাতায়াত করতে হয়। সিএনজি, অটোরিকশা ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেল আরোহীদেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি ডুবে যায়, কাদা নর্দমায় রাস্তাটির দূরাগত অবস্থা।
জানা যায়, দাদুল চোকিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ৮০০ শিক্ষার্থী এবং চোকিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫০ জন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনা করে। যার এক তৃতীয়াংশ ছাত্রছাত্রী যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা আটপুকুরহাটের এই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক।
সড়কটি রুদ্রানী খাজাপুর হয়ে ফুলবাড়ী-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং চিন্তামন মাদিলা হয়ে বিরামপুর উপজেলার প্রধান সড়কের সঙ্গে মিশেছে।
রাস্তাটি পাকাকরণ হয়েছে আরও কয়েকবছর আগে। তবে কিছু অংশের কাজ হয়ে বছর খানেক আগে। আটপুকুরহাটের পশ্চিম অংশ থেকে দাদুল চোকিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি ইট সোলিং বিছনো হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। ইতোমধ্যেই রাস্তাটির ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ইটখোয়া উঠে দিয়ে বড় বড় গর্তসহ খানাখন্দকে পরিপূর্ণ হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এ কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার ওপর পানি জমে কাদা-পানিতে যানবাহন তো দূরের কথা মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তুপ, দুর্গন্ধ ছড়িয়ে আশপাশের পরিবেশও দূষণ করছে।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টির পানিতে মাটি গলে কাঁদায় পরিণত হয়। পুরো বর্ষা মৌসুম জুড়েই রাস্তাটি কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে পড়ে। ফলে এ রাস্তাটি যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে। এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে বেকায়দায় পড়তে হয়। এ রাস্তা দিয়ে এলাকাবাসী, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।
রিকশা ভ্যান চালক আবুল হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যায় আর শুকনো মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে ধুলার কারণে যানবাহন চলাচলে অনেক কষ্টের হয়ে দাঁড়ায়। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে চলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মানিক রতন বলেন, রাস্তাটির কারণে এলাকা বাসীরই শুধু নয় হাটে আসা বিভিন্ন এলাকার মানুষসহ স্কুলের ছেলেমেয়েদেরকে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। তবে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ওই রাস্তাসহ ইউনিয়নের সঙ্গে সংযোগকৃত সবগুলো রাস্তার কাজই চলমান রয়েছে। দ্রুত এই রাস্তার কাজও শুরু করা হবে।