বৃহস্পতিবার, ০৭ জুলাই ২০২২, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
খবরের আলো :
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেট নগর থেকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কের কিছু দূর এগিয়ে গেলে দুই পাশে কেবল পানিই চোখে পড়ে। সদর উপজেলার ছালিয়ার পর গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর বাজার। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্যার পানির কারণে সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়ক বিচ্ছিন্ন ছিল। পানি নামতে শুরু করায় সীমিত পরিসরে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে দুটি স্থানে সড়কের ওপর দিয়ে এখনো প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ঝুঁকি নিয়েই অনেক যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলছে।
সালুটিকর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার যাওয়ার পর কোম্পানীগঞ্জের বর্ণি এলাকা সেখানে প্রবল স্রোতে পানি নামছে। তবু যানবাহন চলছে। নৌকায় করে বর্ণি হাওর দিয়ে যেতে হয় তেলিখাল গ্রাম। পথে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর পড়ে। যার সব কটিই তলিয়ে গেছে। অনেক ঘরের বেড়া, চালা নেই। এসব বাড়ির বাসিন্দারা চলে গেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে।
তেলিখাল থেকে সড়কপথে প্রায় ৯ কিলোমিটার পর কোম্পানীগঞ্জ থানার বাজার। এই সড়কের দুই ধারে কিছু দূর পর ট্রাক পানিতে উল্টে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সেতুগুলোতে বস্তা দিয়ে ছাউনির মতো বানিয়ে গরু রাখা হয়েছে।
থানাবাজার থেকে নৌকা নিয়ে উপজেলা পরিষদ, কোম্পানীগঞ্জ থানা, থানাবাজার টিঅ্যান্ডটি রোড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধলাই নদের পানি উপচে বাজারসহ আশপাশের এলাকায় চার থেকে পাঁচ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। থানাবাজার টিঅ্যান্ডটি রোডের সব দোকানপাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। থানা প্রাঙ্গণও প্রায় চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদেরও একই অবস্থা।
ওই এলাকার নলকূপগুলোও পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদসহ আশপাশের এলাকায় যাতায়াতের এখন একমাত্র মাধ্যম নৌকা। উপজেলাটি এখনো বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন, মাঝেমধ্যে পাওয়া যায় মুঠোফোন নেটওয়ার্ক।
কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কের পাশেই করা হয়েছে নৌকার ঘাট। সেখান থেকে নৌকা নিয়ে গন্তব্যে যাওয়া–আসা করতে দেখা গেছে স্থানীয় লোকজনকে। কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকার সব কটি ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দুই থেকে তিনতলার ভবনগুলোর বাসিন্দারা নিচতলা থেকে ওপরের তলায় বসবাস করছেন।