খবরের আলো :
জবি প্রতিবেদক :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবিদ হাসানের বিরুদ্ধে। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকে এ ঘটনা ঘটে৷
এঘটনায় সোমবার ভুক্তভোগী ছাত্রী নিজের নিরাপত্তা ও অভিযুক্তের শাস্তি নিশ্চিতের জন্য সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত আবিদ হাসানের দাবি ওই ছাত্রী তাকে হেনস্তার চেষ্টা করছে।
সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী ও আবিদ হাসানের মধ্যে এবছরের শুরুর দিকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কয়েক মাস কাটার পর আবিদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি মেয়ের সাথে আবার প্রেম শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সেই ছাত্রী এর প্রতিবাদ করলে সেখান থেকে তাদের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্ত আবিদ মুঠোফোনে বিভিন্ন সময় সেই ছাত্রীকে নানান হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন নানান ইস্যুতে।
এরই জের ধরে গত রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেইটে প্রকাশ্যে ওই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে আবিদ। প্রত্যক্ষদর্শীদের চোখেও বিষয়টি ধরা পড়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি দ্বিতীয় গেইটের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এক সময় খেয়াল করি কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবিদ তার (ভুক্তভোগী ছাত্রী) গায়ে জোরে ধাক্কা মারেন৷ আমি দৌঁড়ে সেখানে গেলে আবিদ সেখান থেকে চলে যায়।
এদিকে প্রকাশ্যে হেনস্তা ও বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকির ফলে শঙ্কাবোধ করছেন সেই ছাত্রী। এঘটনায় অভিযুক্তের যথাযথ শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, আমি চাই আমার মতো আর কোনো মেয়ের সাথেই সে যেন এমন করতে না পারে৷ এজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া এখন সময়ের দাবি৷ নাহলে সে পার পেয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেকের সাথেই এসব করবে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী আরও বলেন, আবিদ ও তার বন্ধু ইফতেখার আহমেদ রিয়াদ আমাকে নানানভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা ও হুমকি দিয়েছে এখনো দিচ্ছে যেন বিষয়টি নিয়ে না আগাই কিংবা অভিযোগ তুলে ফেলি। আমি সবার সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে আবিদ হাসান বলেন, ওই মেয়ের সাথে আমার প্রথমে সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু এখন কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে সে।
এদিকে ইফতেখার আহমেদ রিয়াদ বলেন, আমি চাই প্রকৃত দোষীর বিচার হোক। তবে বিনা কারণে যেন কেউ হেয় প্রতিপন্ন বা ভুক্তভোগী না হয়। শুরুর দিকেই আমি তাদের মধ্যকার সমস্যাগুলো শিক্ষকদের মাধ্যমে সমাধান করতে বলেছিলাম৷ এতটুকুই। কোন হুমকি বা প্রভাবিত করার চেষ্টা করিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন, ওই ছাত্রীর অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে৷ বিভাগীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমার কাছে আবেদন পাঠাবে ৷ তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।