বয়সের সঙ্গে চুল পাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পাকতে দেখা যায়। এই অল্প বয়সে যদি চুল পাকা দেখা দেয় তবে মনের অবস্থাও ভালো থাকে না। আপনার এমন পরিস্থিতি কারো কারো হাসি-ঠাট্টার খোরাক জোগাচ্ছে।
অল্প বয়সে চুল পাকার অনেক কারণ থাকতে পারে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জেনেটিক, মানসিক চাপ, পুষ্টির অভাব ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।
মূলত মেলানিন নামক এক উপাদান চুলের রং নির্ধারণ করে। এর উৎপন্নের পরিমাণ কমে গেলেই চুল সাদা হওয়া শুরু করে।
তবে কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার ও সঠিক অভ্যাস অবলম্বন করলে চুলের অকালে রং হারিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করা যায়। আজকের প্রতিবেদনে জানবেন এমন কিছু উপায়, যেগুলো আপনার চুলকে সাদা হওয়া থেকে বাঁচাবে।
কারি পাতায় উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান চুল পাকায় বাধা দেয়। এ জন্য নারকেল তেলে কারি পাতা সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিন।
এবার এই তেল দিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন।
সঠিক খাদ্য গ্রহণ
চুল পাকা রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো পুষ্টির অভাব। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন। প্রতিদিনের খাবারে আয়রন, ভিটামিন বি ১২, প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন ডিম, মাছ, সবুজ শাকসবজি, বাদাম ও ফল।
ধূমপান পরিহার করুন
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, ধূমপান শরীরের প্রিম্যাচিউর এইজিংয়ের জন্য দায়ী। ধূমপান বন্ধ করলে সার্কুলেশন পর্যাপ্ত গতিতে চলে, আর চুলের অকালপক্বতাও রোধ হয়।
নিয়মিত আমলার ব্যবহার
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলা চুল পাকা রোধে সহায়ক। এ জন্য আমলার রস পান করুন। আমলা নারকেল তেলে সিদ্ধ করে চুলে লাগান বা আমলা পাউডার দিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন। এতে চুল সুস্থ ও উজ্জ্বল হবে।
কেমিক্যাল মুক্ত হারবাল শ্যাম্পু
কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু চুলের ক্ষতি করে। তাই বেছে নিন ভেষজ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার। এ ছাড়া সালফেট ও প্যারাবেন মুক্ত পণ্য পছন্দ করুন।
কপারসমৃদ্ধ খাবার
আমাদের শরীরে কপারের অভাবে চুল পেকে যেতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় পালংশাক, মাংস, আনারস, ডালিম, বাদাম, মাশরুম পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখুন।
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজ সালফার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এগুলো চুলের গোড়া মজবুত করে এবং ধূসরতা কমায়। চুলের গোড়ায় টাটকা পেঁয়াজের রস লাগান, ৩০ মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
চাপ কমাতে হবে
অতিরিক্ত চাপ চুলের অকালে পাকার পেছনে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। তাই দৈনন্দিন জীবনে যোগব্যায়াম, ধ্যান ও ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি মানসিক চাপ কমাবে এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করবে।
এ ছাড়া তেল মালিশ করুন। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাবে এবং ধূসর হওয়া কমিয়ে দিবে। তেল মালিশের জন্য নারকেল তেল, বাদাম তেল বা ক্যাস্টর অয়েল হালকা গরম করুন এবং সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে ম্যাসাজ করুন।