ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার আটকবানা গ্রামে অবৈধ বালু ব্যবসার বলি হলেন এক কৃষক ও তার পরিবার। স্থানীয় অবৈধ বালু ব্যবসায়ী নূরু সরদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী কৃষক জুয়েল রানার ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে তার দুই হাত ও একটি পা ভেঙে দিয়েছে। এ ঘটনায় তার মা হোসনেয়ারা বেগম (৬৫) এবং বোন পলি আক্তারও গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, জুয়েল রানা (৩০) স্থানীয় রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র। কৃষিকাজ করে সামান্য আয় থেকে একটি পাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন তিনি। কিন্তু প্রতিবেশী মৃত মুনসুর সর্দারের ছেলে নূরু সরদার তার কাছে থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু বিক্রির চেষ্টা করে। জুয়েল এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে নূরু সরদার তার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ তার ওপর হামলা চালায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আটকবানা গ্রামে এই নৃশংস হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জুয়েল রানার দুই হাত ও একটি পা ভেঙে দেয়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার মা ও বোনকেও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।
আহতদের পরিবার জানিয়েছে, তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি, অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার কৃষক ও তার পরিবারের প্রতি সকলের সহানুভূতি ও ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা রইল।
