সুপারস্টারদের জন্মদিন মানেই ভক্তদের আনন্দ উদযাপনের উপলক্ষ্য। আর সেখানে যদি একগাদা ফুটবল তারকার তালিকা থাকে তাহলে তো কথাই নেই। বিশ্ব ফুটবলাঙ্গনে যেনো আজ পড়েছে শুভেচ্ছা জানানোর হিড়িক।
বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা দুই তারকা রোনালদো আর নেইমারের পাশাপাশি আজকের দিনে পৃথিবীর আলো দেখেছেন সাবেক ইতালিয়ান ফুটবলার ও কোচ পাওলো সিজার মালদিনি, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড কার্লোস তেভেজ, রোমানিয়ার কিংবদন্তী গিওর্গি হ্যাজি ও সফল কোচ সভেন গোরান এরিকসন।
রোনালদো-নেইমার-তেভেজের একই জন্মদিনের ব্যাপারটাও তাই অনেকের জানা। তবে ফুটবলের প্রতিভাপ্রসবা এই দিনটা শুধু এই তিনজনেরই নয়। ১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ইতালিতে জন্ম নিয়েছিলেন সিজারে মালদিনি নামের একজনও। মিলানের প্রতীক হয়ে যাওয়া মালদিনি পরিবারের প্রথম প্রজন্মের গল্পটা তার হাত ধরেই। ১৯৬৩ সালে মিলানকে প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ এনে দেওয়া দলের অধিনায়ক ছিলেন, প্রিয় ক্লাবের এক যুগের ক্যারিয়ারে লিগও জিতেছেন চারবার। পরে কোচ হয়েও দুই দফায় মিলানের ডাগআউটে এসে জিতিয়েছেন উয়েফা কাপ, উইনার্স কাপ ও ইতালিয়ান কাপ। মিলানের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারদের তালিকা করলে ছেলে পাওলোর সঙ্গে সিজারকেও রাখতেই হবে।
৫ ফেব্রুয়ারিই জন্মেছিলেন গিওর্গি হ্যাজিও। রোমানিয়ার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফুটবলার একজন তিনি নিঃসন্দেহে। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ছিলেন বিশ্ব ফুটবলেরও অন্যতম সেরাদের একজন। ‘কার্পেথিয়ানসের ম্যারাডোনা’ হিসেবে খ্যাত হ্যাজির স্টুয়া বুখারেস্ট, রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার হয়ে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। ছিলেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা রোমানিয়া দলের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকা।
এই বিখ্যাত ফুটবলারদের ভিড়ে একই দিনে জন্ম হয়েছিল এক বিখ্যাত কোচেরও— সভেন গোরান এরিকসন। সুইডিশ এই রাইটব্যাকের ফুটবল ক্যারিয়ার খুবই সাদামাটা। কিন্তু কোচ হিসেবে সাফল্য ঈর্ষণীয়। সুইডিশ আইসম্যান হিসেবে খ্যাত এরিকসন ক্লাব ও জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে দশটি দেশে কাজ করেছেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। তিনটি আলাদা দেশে (সুইডেন, পর্তুগাল ও ইতালি) লিগ ও কাপের ডাবল জেতা প্রথম কোচও তিনি।