কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে জেলেদের হামলায় নদীতে পড়ে নিখোঁজ দুই পুলিশ সদস্যর মধ্যে এএসআই সদরুল আলমের মরদেহ ৪০ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ৩ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে মরদেহটি নদীর তীরে আনতে সক্ষম হন ডুবুরিরা। পরে কুমারখালী থানার ওসি নজরুল ইসলাম এবং সদরুলের পিতা লাশটি শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এএসআই মুকুল। তাকে উদ্ধারের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
নিখোঁজ ২ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধারে মঙ্গলবার সকালে নদীতে নামে ফায়ার সার্ভিসের ১১ সদস্যের একটি ডুবুরীদল। ৪০ ঘন্টা পর আজ দুপুর তিনটার দিকে শিলাইদহ ঘাট এলাকার পদ্মা নদীর মাঝ থেকে এএসআই সদরুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরী দল।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম বলেন, যতক্ষন পর্যন্ত নিখোঁজ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা না হবে, ততক্ষন উদ্ধার অভিযান চলতে থাকবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে কুমার খালী থানার এসআই নজরুলের নেতৃত্বে ছয়জন পুলিশ, স্থানীয় দুই ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে একটি মামলার ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য নৌকায় চর সাদিপুর যাচ্ছিলো। মাঝ নদীতে পুলিশের ওই নৌকায় হামলা চালায় অবৈধভাবে ইলিশ ধরা জেলেদের একটি দল। এসময় পুলিশের নৌকাটি জেলেদের একটি নৌকার সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ দুই ইউপি সদস্য সাতরে কিনারায় উঠলেও এএসআই মুকুল এবং সদরুল নামের দুইজন তলিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই তাদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে পুলিশ।
তবে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেন পুলিশ নদীতে নেমে জেলেদের ধরা মাছ নিয়ে নেয়। সেকারণে ক্ষুব্ধ হয়ে একটি দল তাদের ওপর হামলা করে এবং মারধর করে নৌকা ডুবিয়ে দেয়।
এদিকে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে পুলিশ।




