ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার সরগরম। জনপ্রিয় ক্রিপ্টো কয়েনগুলোর প্রায় প্রতিটির দামই উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিটকয়েন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আজ (বৃহস্পতিবার) বিটকয়েনের দাম আরও এক দফা বৃদ্ধি পেয়ে কয়েন প্রতি দাম ছাড়িয়েছে ৯৮ হাজার ডলার। বিটকয়েন মালিকদের অপেক্ষা এখন লাখের!
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিনই (৬ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো বিটকয়েনের দাম ৭৫ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিটকয়েনের দাম আরও একবার উন্নীত হয় রেকর্ড উচ্চতায়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম কয়েনগেকো’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে) কয়েন প্রতি দাম ৯৮,৩১০ ডলারে পৌঁছয়। অর্থাৎ, গত দু’সপ্তাহে বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩ হাজার ডলারেরও বেশি। এ যেন রোলার কোস্টারে যাত্রা করছে বিটকয়েন। যদিও এই রিপোর্ট লেখার সময় বিটকয়েনের দাম ছিল ৯৭ হাজার ডলারের কিছুটা উপরে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে বিটকয়েন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩২ শতাংশ। যদিও এর বেশিরভাগটাই হয়েছে গত ২ সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর।
একসময়ের ক্রিপ্টো-বিরোধী ট্রাম্প এবার নির্বাচনী প্রচারণায় ক্রিপ্টোকারেন্সির পক্ষে শক্ত অবস্থান নেন এবং ক্রিপ্টো-বান্ধব নীতি প্রণয়নেরও আশ্বাস দেন। পাশাপাশি আমেরিকার একটি জাতীয় বিটকয়েন রিজার্ভ তৈরিসহ ক্রিপ্টোর বাজারে সরকারি হস্তক্ষেপ কমিয়ে আনার কথাও জানান। এছাড়াও নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের বিশ্বস্ত সহযোগী ইলন মাস্কেরও জোড়াল অবস্থান রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির পক্ষে।
আমেরিকার জাতীয় ঋণ বর্তমানে ৩৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপরে। যার জন্য প্রতিদিন ৩ বিলিয়ন ডলার সুদ গুণতে হয় দেশটিকে। দেশের রিজার্ভের উপর চাপ না দিয়ে বিটকয়েনের মাধ্যমে এই ঋণ পরিশোধের একটি আইডিয়াও দেশটির রাজনৈতিক অলিন্দে ঘোরাফেরা করছে বিগত কয়েক বছর ধরে।
এখন দেখার বিষয়, আসছে জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কোন পথে এগোন।





