শিরোনাম: |
থার্টিফাস্টে এবারও আয়োজন থাকছে না কক্সবাজারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
৩৬৫ দিনের সফলতা-ব্যর্থতার হিসাব পেছনে ফেলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় ৩১ ডিসেম্বর রাতে ২০২৪ সালকে স্বাগত জানিয়ে পালন করা হবে থার্টিফাস্ট নাইট। তবে কক্সবাজার পর্যটন জোনের খোলা কোনো মাঠে এবারও থাকছে না বড় কোনো আয়োজন। বিগত দেড় দশক ধরে প্রতিবছরই থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে পর্যটকদের ভিড়ে কক্সবাজার লোকারণ্য হয়ে ওঠে। এবারও থার্টিফাস্ট এবং বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজার সৈকত ও আশপাশের পর্যটন এলাকায় অতিথি ও স্থানীয় মিলিয়ে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে এমনটি প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির। ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ জানান, গত নব্বই দশকের শেষ থেকে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনে বেসরকারি টেলিভিশন কিংবা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি সৈকতে উন্মুক্ত বিনোদন আয়োজন করে বর্ষবরণ জমিয়েছে। তারকা হোটেলগুলো আয়োজন করতো ইনডোর প্রোগ্রাম। যেখানে বহিরাগতরাও অংশ নিতে পারতো। কিন্তু ২০১৭ সালে সঙ্গে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গার আগমন ঘটে। এরপর বাংলাদেশে পূর্ব থেকে অবস্থান করা আরও তিন-চার লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি ক্যাম্পে অবস্থান করানো হচ্ছে। সেই থেকে নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় ২০১৭ সাল থেকে থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে সৈকত তীরে উন্মুক্ত বা বাউন্ডারি ভুক্ত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর ২০১৯ সালে করোনা মহামারির পর পুরো পর্যটন নগরীই বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে থার্টিফার্স্ট নাইটের সেই জমজমাট আয়োজন আর হচ্ছে না কক্সবাজারে। রেজাউল করিম বলেন, থার্টিফার্স্টে উন্মুক্ত কোনো আয়োজন না থাকায় এবারের থার্টিফাস্ট নাইট বা নতুন বর্ষবরণকেও ‘প্রাণহীন’ বলা চলে। কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, মৌসুমের এ সময়টায় কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম বাড়তি থাকে। কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের সিংহভাগই এক বা দুদিনের ট্যুরে সেন্টমার্টিন যান। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের শুরুতে। তাই শঙ্কায় অনেকে বেড়াতে বের হচ্ছেন না। ফলে অন্য বছরের চেয়ে পর্যটক আগমন কম। এরপরও ইংরেজি নতুন বছর ২০২৪ কে স্বাগত জানাতে পর্যটকসহ কয়েক লাখ মানুষের মিলন মেলা হবে আশা করা যায়। এরইমধ্যে অধিকাংশ রুম বুকিং হয়েছে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পোশাক পরিহিত পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করবে। বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে যতটা সম্ভব চলবে তল্লাশি। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, সরকারি নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে কনসার্ট, গান বাজনাসহ সব ধরনের আয়োজন এবারও বন্ধ রাখা হয়েছে। |