শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
হঠাৎ তীব্র কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরসহ আশেপাশের এলাকা। মধ্যরাত থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত এই অবস্থা বিরাজ করে। তবে সকাল ৮ থেকে ১০ টা পর্যন্ত এর ঘনত্ব খুব বেশি ছিলো। একারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সকালের দুটি ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি। সেই সাথে সড়কে যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে। বেলা ১১ টা পর্যন্ত হেড লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হয়েছে সব ধরনের গাড়ি।
বাংলাদেশ বিমান ও বেসরকারি কোম্পানি এয়ার এস্ট্রারের ফ্লাইট সৈয়দপুরগামী প্রায় ১২০ জন যাত্রীকে নিয়ে পুনরায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে গেছে। অন্যদিকে ঢাকাগামী শতাধিক যাত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আটকা পড়ে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট দুটি বাতিল করেনি। যা পরবর্তীতে ১১ টার পর আসে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, ভোর ৬টায় ঘন কুয়াশায় বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৮০০ মিটার। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দৃষ্টিসীমা কমতে থাকে, যা ৮টার দিকে দৃষ্টিসীমা ৩০০ মিটারে নেমে আসে। তবে সকাল ৯টার দিকে দৃষ্টিসীমা বেড়ে ৭০০ মিটারে উন্নীত হয়। বেলা ১১টার মধ্যে ঘন কুয়াশা কেটে যায়।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ম্যানেজার এ কে এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বলেন, শিডিউল অনুযায়ী রোববার সকাল ৮টা থেকে সোয়া ৮টার মধ্যে বাংলাদেশ বিমান ও এয়ার এস্ট্রার ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার সূচি ছিল। কিন্তু ভোর থেকে ঘন কুয়াশা দেখা দেয় রানওয়েতে। সকাল ৮টার দিকে দৃষ্টিসীমা ৩০০ মিটারের কম থাকায় ফ্লাইট অবতরণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে বাংলাদেশ বিমান ও এয়ার এস্ট্রার ফ্লাইট দুটি সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ না করে ঢাকায় ফিরে যায়। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এবার এই প্রথম এমন কুয়াশার দেখা মিলেছে। হঠাৎ করে এত তীব্র কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় জনমনে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে ঘনত্ব কমে আসলেও দিনভর কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল অত্র এলাকা। বেলা ১১ টার দিকে শুধু ১০ মিনিটের জন্য সূর্যালোকচ্ছটা দেখা যায়।





